হিন্দু সম্প্রদায়ের বিদ্যার্চনায় স্বরসতি পূজার প্রস্তুতি চাঁদপুর শহরে পুরোদমে চলছে। মন্দিরে মন্দিরে চলছে প্রতিমা তৈরির কাজ। আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি হিন্দু সম্প্রদায়ের বিদ্যার্চনায় স্বরসতি পূজা অনুষ্ঠিত হবে। সে লক্ষে শহরের কালীবাড়ি মন্দির, গোপাল জিউর আখড়া ও পুরাণবাজার হরিসভা মন্দিরে ফরিদপুরের পাল বংশীয় সম্প্রাদেয়ের জীবন পাল ও গোবিন্দ পাল দিনরাত পরিশ্রম করে নিজের সন্তান ও ২০/২৫ জন কারিগর নিয়ে স্বরসতি প্রতিমা তৈরির কাজ করে যাচ্ছেন।
গত ১৫/২০ দিন ধরে জীবন পাল শহরের গোপাল জিউর আখড়া মন্দির ও পুরাণবাজার হরিসভা মন্দিরে স্বরসতি প্রতিমা তৈরির কাজ করে যাচ্ছে। একই ভাবে গোবিন্দ পাল শহরের নতুন বাজার শ্রী শ্রী কালিবাড়ি মন্দিরে স্বরসতির প্রতিমূর্তি তৈরি করছে। খরকুটা, বাঁশ, আঠালো কাঁচা মাটির প্রলেপ দিয়ে কাঠামো তৈরি করতে ব্যস্ত সময় পার করছে। এরা সবাই নিজ সন্তানসহ কম করে হলে ও ১৫/২০ জন করে কারিগর নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে।
স্বরসতি পূজার আর মাত্র বাকি ২৬ দিন। এ কদিনের মধ্যে প্রায় কয়েকশ প্রতিমা তৈরি করতে হবে। সে জন্য জীবন পাল ও গোবিন্দ পাল কারিগর নিয়ে দিনরাত পরিশ্রম করে স্বরসতি প্রতিমার কাজ করে যাচ্ছে। হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ স্বরসতিকে বিদ্যার দেবী হিসেবে আখ্যায়িত করে থাকেন। সে লক্ষে পাড়া-মহল্লা, মন্দিরে আবার কেউ কেউ বাসা-বাড়িতেও স্বরসতি পূজা করে থাকে। শিক্ষার্থীরা তাদের স্ব-স্ব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতেও স্বরসতি পূজা করে থাকে। যুবসমাজ সবচেয়ে বেশি আনন্দঘন পরিবেশে স্বরসতি পূজার আয়োজন করে থাকে।
চাঁদপুর জেলা ও সদর উপজেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদ সূত্রে জানা যায়, এ বছর স্বরসতি পূজার ঐতিহ্য শোভা যাত্রা করা হবে না। বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারির কারণে কেন্দ্রীয় পূজা পরিষদের নির্দেশ মতে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে সদর উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভা করা হয়েছে। সনাতন ধর্মাবলম্বীরা সম্মতি প্রদান করেছে শোভা যাত্রা না করার জন্য।