চাঁদপুরে মুজিব শতবর্ষে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমি এবং গৃহ প্রদান বিষয়ে প্রেস ব্রিফিং অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল ২১ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে প্রেস ব্রিফিং-এর আয়োজন করা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ।
তিনি তার বক্তব্যে বলেন, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ মতে এদেশে কেউ গৃহহীন থাকবে না। তারই ধারাবাহিকতায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে এ কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। বর্তমানে এদেশের জনগণ জানে যে, কি পরিমান উন্নয়ন হচ্ছে দেশের। নতুন দিগন্ত শুরু হয়েছে। সুস্থ ও সুন্দর পরিবেশ তৈরি করে দেয়া হচ্ছে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কোনো কিছু এককভাবে করার সুযোগ নেই। সম্মিলিতভাবে সবকিছু করা হচ্ছে। যখন থেকে আশ্রয় প্রকল্প তৈরি হয়, তখন থেকেই বিভিন্ন নির্দেশনা থাকে। যারা কিনবে, তারা যেন সচেতন থাকে। কারণ এটা আইনত নয়। এসব বাড়ি হস্তান্তর যোগ্য নয় বলেও রেজিস্ট্রিতে লেখা রয়েছে।
তিনি আরো বলেন, অপরাধ প্রবনতার জন্যে গ্রাম পুলিশের ব্যবস্থা রয়েছে। তারা আমাদের অনেক গুরুত্বপূর্ণ সোর্স। যাদেরকে ঘর বরাদ্দ দেয়া হয়েছে, তাদের জীবন সুস্থ জীবন। আমাদের সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় চাঁদপুর জেলাকে আরো সুন্দর করে গড়ে তুলবো।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) অসীম চন্দ্র বণিকের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর প্রেসক্লাব সভাপতি ইকবাল হোসেন পাটওয়ারী, সাধারণ সম্পাদক রহিম বাদশা, সাবেক সভাপতি গোলাম কিবরিয়া জীবন, কাজী শাহাদাত, সহ-সভাপতি গিয়াস উদ্দিন মিলন, সোহেল রুশদী, ফটোজার্নালিস্ট এসোসিয়েশন সভাপতি এমএ লতিফ, সাধারণ সম্পাদক কেএম মাসুদ ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক তালহা যুবায়ের প্রমুখ।
এ সময় চাঁদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সানজিদা শাহনাজ, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ছামিউল ইসলামসহ জাতীয় ও স্থানীয় গণমাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
আগামীকাল ২৩ জানুয়ারি শনিবার সকালে সারাদেশে একযোগে মুজিববর্ষ উপলক্ষে ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমি এবং গৃহ প্রদান প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ প্রকল্পের আওতায় চাঁদপুর জেলায় ১১৫ টি ঘর প্রদান করা হবে। তন্মধ্যে চাঁদপুর সদরে ৪০টি, মতলব দক্ষিণ উপজেলায় ২৫টি, মতলব উত্তর উপজেলায় ৫টি, কচুয়া উপজেলায় ১৫টি, শাহরাস্তি উপজেলায় ৫টি, হাজীগঞ্জ উপজেলায় ৫টি ও হাইমচর উপজেলায় ২০টি ঘরের বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। প্রতিটি গৃহ নির্মাণ ব্যয় ১লাখ ৭১ হাজার টাকা।