দেশের অন্যতম নদী মাতৃক কৃষি প্রধান অঞ্চল চাঁদপুর। এ জেলার ওপর দিয়ে বেশ কিছু নদী প্রবাহিত হওয়ায় কৃষিতে ফসল উৎপাদন হয়ে থাকে। নদীর তীর সংলগ্ন এলাকাগুলোতে ব্যাপক হারে এ বছর আলু চাষ করা হয়েছে। এ বছর চাঁদপুর জেলায় ৮ হাজার হেক্টর জমিতে আলুচাষ করা হয়েছে। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে ১০ হাজার ৩৫ মেঃ টন।
চাঁদপুর কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোঃ জালাল উদ্দীন বলেন, এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় কৃষকদের আলু চাষে আগ্রহ বেরেছে। কৃষি বিভাগের উৎপাদনের প্রযুক্তি প্রদান, যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত, কৃষি উপকরণ পেতে সহজলভ্যতা, বীজ, সার ও কীটনাশক ব্যবহারে কৃষিবিদদের পরামর্শে কৃষিঋণ প্রদান ইত্যাদি কারণে চাঁদপুরের চাষীরা ব্যাপক হারে আলু চাষ করছে। বিশেষ করে চাঁদপুরের চরাঞ্চলগুলোতে ব্যাপক আলু চাষাবাদ হয়েছে।
আলু চাষকৃত চরাঞ্চলগুলো হলো : মতলবের চরইলিয়ট, চর কাসিম, সবজিকান্দি, জহিরাবাদ, ষষ্টখন্ড বোরোচর, চাঁদপুর সদরের রাজরাজেশ্বর, জাহাজমারা, লগ্নিমারা, বাঁশগাড়ি, চিড়ারচর, ফতেজংগপুর, হাইমচরের ঈশানবালা, চরগাজীপুর, মনিপুর, মধ্যচর, মাঝিরবাজার, সাহেববাজার ও বাবুরচর ইত্যাদি।
চাঁদপুর সদর উপজেলায় এ বছর ১ হাজার ৮শ’ ৯০ হেক্টর জমিতে আলুর চাষ করা হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে ১ হাজার ৪শ’ ৫৫ মেট্রিক টন।
মতলব দক্ষিণ উপজেলায় আলুর আবাদ চাষাবাদ করা হয়েছে ৩ হাজার ৯ শ’ ৯ হেক্টর জমিতে। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩ হাজার মে.টন।
হাজীগঞ্জে আলুর চাষাবাদ করা হয়েছে ৭২৫শ’ হেক্টর জমিতে। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৬ শ’ মে.টন। শাহরাস্তিতে আলুর চাষাবাদ ২০ হেক্টর এবং উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২৫ মে.টন । কচুয়ায় আলুর চাষাবাদ করা হয়েছে ২ হাজার ৫শ’ ৩০ হেক্টর জমিতে। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২০ হাজার ৬০ মে.টন। ফরিদগঞ্জে আলুর চাষাবাদ করা হয়েছে ৯০ হেক্টর জমিতে। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৮০ মে.টন। মতলব উত্তর উপজেলায় আলুর চাষাবাদ করা হয়েছে ৬শ’ ২৫ হেক্টর জমিতে। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে ৬শ’ ২০ মে.টন। হাইমচরে আলুর চাষাবাদ করা হয়েছে ১শ’ ৬৫হেক্টর জমিতে। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২শ ৬০ মে.টন।
চাঁদপুর জেলার ৪টি রাষ্ট্রয়ত্ব ব্যাংক সোনালী, অগ্রণী, জনতা ও কৃষি ব্যাংক এ বছর ৫৪ লাখ টাকা কৃষি ঋণ চাষাবাদে ঋণ হিসেবে বরাদ্দ প্রদান করেছে।